স্বাধীনতার ৭৮ বছর পর ত্রিপুরা রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকা গুলিতে কোন ধরনের বাধা বিহীন বিদ্যুৎ আলো প্রতিটি ঘরে পৌছতে চলেছে আর কিছুদিনের মধ্যে।যার দাবি ছিল পাহাড়ি জনপদে বসবাসকারী জনজাতি মানুষজনদের। বর্তমানে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলেছে ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথের কল্যাণে মুঙ্গিয়াকামিতে বৈদ্যুতিক সার্ভিস স্টেশন।
তেলিয়ামুড়া মহকুমা মুঙ্গিয়াকামি আর ডি ব্লকের অধীনে ১৪ টি এডিসি ভিলেজ রয়েছে। তার মধ্যে উত্তর মহারানী দক্ষিণ মহারানী সহ ১৮ মুড়া পাহাড়ের বিস্তীর্ণ জনজাতি প্রত্যন্ত এলাকা রয়েছে। প্রত্যেকটি পরিবারই বনের লতা পাতা কিংবা জুম চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে বহুকাল থেকে। তাদের দাবি ছিল বাধাহীন বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা। যাতে করে তাদের অস্বাভাবিক জীবন স্বাভাবিকভাবে কাটাতে পারে। বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া আর ছাত্র-ছাত্রীরা রাতের বেলা বৈদ্যুতিক আলোতে পড়াশোনা করতে পারে। বর্তমানে তেলিয়ামুড়া থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিয়ে আসছে মুঙ্গীয়াকামি ব্লকের বিভিন্ন ভিলেজ এলাকায়। বর্ষা কিংবা ঝড় তুফানে বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছ গাছালি ভেঙ্গে পড়াতে বিদ্যুৎ সংযোজন ছিন্ন হয়ে থাকত ব্লকের বিভিন্ন এলাকায়। আর তার ফলে ওই সকল এলাকাগুলিতে দেখা দিত পানীয় জলের সমস্যা। কারণ বৈদ্যুতিক পরিষেবা ছিন্ন থাকার ফলে জলের পাম মেশিন চালানো বন্ধ হয়ে থাকতো। আর তার ফলে পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধে সামিল হতো সাধারণ জনগণ। ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার তৎপরতায় এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথের প্রচেষ্টায় মুঙ্গিয়াকামিতে বৈদ্যুতিক সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। বর্তমানে বৈদ্যুতিক তার সম্প্রসারণের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। বৈদ্যুতিক তার সম্প্রসারণের কাজের কিছু অসুবিধার কথা জানতে পেরে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা চামপ্লায় এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পরিদর্শন করেন এবং অসুবিধা গুলি সমাধান করেন মহকুমা শাসকের সাথে আলোচনা করে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই আলাদা সার্ভিস স্টেশন থেকে গোটা মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।