একদিকে চলছে নেশা বিরোধী অভিযান ,নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার স্লোগান। অন্যদিকে দেদার হরে রাজ্যের আনাচে কানাচে গড়ে উঠছে বিলেতি মদের কাউন্টার। সোনামুড়ার জনজাতি অধ্যুষিত উত্তর তৈবান্দালে এমনই এক কাউন্টার খোলাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষ।
স্কুল ও হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় বিলেতি মদের কাউন্টার খোলা যাবে না কোন ভাবেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এই মর্মে বহু দিন যাবৎই আপত্তি জানিয়ে আসছিল সোনামুড়ার ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উত্তর তৈবান্দাল এলাকার লোকজন। কিন্তু তাদের কোন কথা, কোন দাবিই মানতে নারাজ জনপ্রতিনিধিরা। বাধ্য হয়েই তারা গত ১৯ ডিসেম্বর দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসকের। প্রদান করা হয়েছিল স্মারকলিপি। তারপরও হচ্ছেনা কোন কাজের কাজ। নিরুপায় স্থানীয় জনগণ বাধ্য হয়ে এবার দ্বারস্থ হয়েছেন সংবাদমাধ্যমের।স্থানীয়দের অভিযোগ শাসক দলীয় স্থানীয় এক জনজাতি নেতাকে মোটা টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে গোমতী জেলার উদয়পুরের কিল্লা এলাকার বীরেন্দ্র মোহন জামাতিয়া ও এলাকারই সন্তোষ মোহন মুড়াসিং নামের ২ পাটনার এই মদের দোকান খুলে বসতে যাচ্ছেন। বড় অংকের প্রনামীর জোর ও বহরে এলাকার মানুষের আপত্তিতে কোন কর্ণপাত করছেন নি টি টি এ এ ডি সির নির্বাচিত ঐ প্রতিনিধি। উপায় হারিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
যে স্থানটিতে গড়ে উঠছে এই মদের কাউন্টার তার একেবারে নিকটেই রয়েছে তৈবান্দাল হাসপাতাল। এর ২০০ থেকে ৩০০ মিটার দূরত্বে মধ্যেই তৈবান্দাল স্কুল। বহু ছাত্র – ছাত্রী এই এলাকা দিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যায়। এখানে মদের কাউন্টারে গড়ে উঠলে বিষিয়ে উঠবে এলাকার পরিবেশ। তাই এর বিরুদ্ধে স্থানীয়দের এই জোরালো আপত্তি। আদতে এই আপত্তিতে কোন কাজ হবে কি না !না আর ১০ টি বিষয়ের মতো এই বিষয়টিও টাকা ,রাজনৈতিক ক্ষমতা আর বাহু বলের কাছে হার মেনে জেলাশাসক অফিসের আলমিরাতে পরে থাকবে ফাইল চাপা অবস্থায় ! তা ভেবেই কূল-কিনারা পাচ্ছেন না সোনামুড়ার উত্তর তৈবান্ডেলের লোকজন।।