ভদ্রলোকের পোশাক পরিধান করে সকলের চোখে ফাঁকি দিয়ে এলাকায় প্রতিনিয়ত ঘুরাফেরা করে সুযোগের আড়ালে নাম্বার বিহীন বাইকে করে ছাগল চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পথে বিশালগড় ২ নং চন্দ্রনগর এলাকায় রবিবার দুপুরে আটক মকর সংক্রান্তির প্রাক মুহূর্তে বাবা ও ছেলে।
এলাকাবাসী সেই ভদ্রলোকের পোশাক পরিধান করে সকলের চোখে ফাঁকি দিয়ে এলাকা থেকে ছাগল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পথে ছাগল সহ আটক করে বাবা ও ছেলেকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে উত্তম মাধ্যম দেই মকর সংক্রান্তির প্রাক মুহূর্তে। সংবাদে প্রকাশ বাঙালি ১২ মাসে ১৩ প্লাবন তার মধ্যে মকর সংক্রান্তি একটি অন্যতম উৎসব সনাতন ধর্মীদের। মকর সংক্রান্তির আগের দিন সনাতন ধর্মের লোকেরা বুড়ির ঘর বানিয়ে সকলে বুড়ির ঘরে রাতে পিকনিক খেতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে আর সকলেই রাতে একটু আনন্দ ফুর্তি করতে মাছ-মাংস থেকে শুরু করে বিভিন্ন কিছুর আয়োজন করে থাকেন।
এই মুহূর্তে একটি নাম্বার বিহীন বাইকে করে কিছু হাঁস ও মোরগ নিয়ে এলাকায় ব্লেজার পরে ভদ্রলোকের পোশাক পরিদানে কয়েকবার বিশালগড় 2 নং চন্দ্রনগর এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখে জনগণ তাকিয়ে থাকেন সে ভদ্র পোশাক পরিধান রূপে বাবা ও ছেলের উপর। হঠাৎ করে রাস্তার পাশে থাকা এলাকারই এক গৃহস্থ্য মালতি ভৌমিকের গৃহ পালিত ছাগল রাস্তা থেকে হঠাৎ করে ব্যাগের মধ্যে করে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পথে চারিদিক থেকে এলাকাবাসী ব্লেজার পরা ভদ্রলোকের পরিধানে এলাকায় চুরি করতে আসা বাবা ও ছেলেকে আটক করে। এলাকাবাসীর হাতে আটক ছাগল চোর নিত্যানন্দ দাস ও তার ছেলে সত্যজিৎ দাস।
উভয়ের বাড়ি আগরতলা আড়ালিয়া কলেজটিলা এলাকায়। পরবর্তী সময়ে এলাকাবাসী খবর দেয় বিশালগড় থানায় বিশালগড় থানার সাব-ইন্সপেক্টর বিষ্ণুপদ ভৌমিক সহ TSR জোওয়ান ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে আটক ছাগল চোর বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে বিশালগড় থানায়। জানাযায় প্রতিনিয়ত ২ নং চন্দ্রনগর এলাকায় মানুষের বাড়ি ঘর থেকে গৃহপালিত পশু চুরি হয়ে যাচ্ছে।কোনো গৃহস্থ্য রাস্তার পাশে বা জমিতে তাদের গৃহপালিত পশু গুলোকে ঘাস খেতে দিতেই পারেন না। দেওয়ার সাথে সাথে রাস্তা থেকে কখনো গাড়ি করে এসে কখনো বাইসাইকেল করে এসে কখনো বাইক কে করে এসে চোরের দল চুরি করে নিয়ে যায়। এলাকাবাসীর তৎপরতায় অবশেষে আটক হল ভদ্রলোকের পোশাক পরিধানে চোর বাবা ও ছেলে।