বর্তমান আধুনিকতার যুগে গ্ৰামবাংলায় এক প্রকার বিলুপ্তির পথে ছন বাঁশের তৈরি “বুড়ি ঘর”।
ইট পাথরের ব্যাস্ততম শহরে মানুষজন ভুলে গেছে সেই পৌষ মাসের বুড়ি ঘরের ইতিহাস। তবে ভাবতেও অবাক লাগে বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় বর্তমান সভ্য সমাজ ব্যাবস্থার মানুষজনে’রা পৌষের “আলন্তি ঘরের আমেজ থেকে বিরত থাকতে চাইছে।
তবে একটু পেছনে ফিরে তাকালে দেখা যায়, পূর্বে যেমন বুড়ি ঘর তৈরির ধুম ছিল গ্রামবাংলায়, ঠিক তেমনি বুড়ি ঘর তৈরির প্রচলন বিদ্যমান।
অন্যদিকে শহরাঞ্চলে যেমন বিশুদ্ধ বায়ুর অভাব ঠিক তেমনি গ্ৰাম বাংলার পৌষের চিরাচরিত রীতিনীতি ভুলতে বসেছে শহরবাসীরা। শহরের আশপাশ এলাকায় প্রত্যক্ষ করা যায় না ছন বাঁশের তৈরি বুড়ি ঘর, কিন্তু শহরের উঠতি বয়সের যুবা-যুবতীরা আধুনিকতার সামিয়ানা দিয়ে ঘর তৈরি করে বনভোজনে মাতোয়ারা হয়ে উঠে।
কিন্তু গ্ৰাম বাংলার ইতিহাসে এমন চিত্র প্রত্যক্ষ করা যায় না, গ্ৰামাঞ্চলে এর ঠিক বিপরীত চিত্র। তবে পৌষের পৌষ সংক্রান্তির দিনে বুড়ির ঘরে রাত্রিকালীন সময়ে বনভোজন সেই আমেজ টাই এক অন্য আমেজ। মানব জীবনে এই আনন্দ’টা হৃদয়কে চাঙ্গা করে তুলে, এবং আন্দোলিত করে তুলে।