দুই বছরের শিশু কন্যার মৃত্যুর পেছনে দায়ী কে ? অভিভাবকের অবহেলা নাকি ভাট্টার মালিকের দায়িত্ব কর্তব্যের গাফিলতি এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বার বার। প্রায় সময়ই ভাট্টার শ্রমিক ও শিশুদের অকালে প্রাণ হারাতে হচ্ছে একমাত্র এই ধরনের অবহেলার কারণে। এই মৃত্যুর পেছনে অভিভাবক যেমন দায়ী তেমনি ভাট্টার মালিকও অনেকাংশ দায়ী মনে করছেন একাংশ ওয়াকিবহাল মহল। অনেকেরই অভিমত ভাট্টার শ্রমিক শিশুদের নিরাপদে রাখার উপযুক্ত পরিকাঠামোর অব্যাবস্থা মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে তাদের । তাই প্রায় সময়ই ভাট্টার শ্রমিক ও শিশুরা দূর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। বহিঃরাজ্যে থেকে শ্রমিকরা পেটের তাগিদে ছুটে আসে ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ইট ভাট্টা গুলোতে । ইট ভাট্টার মালিকের জন্য দিন রাত এক করে ইট তৈরিতে ব্যস্ত থাকে এই শ্রমিকরা। পরিবারের ছেলে মেয়ের দিকে তাকাবার সময় পর্যন্ত নেই। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের ঘরে বা পিঠে গামছা দিয়ে বেঁধে কাজ করে চলছে। এই ধরনের অবহেলার কারণে ট্রিপার গাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু ইট ভাট্টার শ্রমিকের দুই বছরের এক শিশু কন্যা সন্তান । ঘটনা বিলোনিয়া থানাধীন চিত্তামারা এলাকার এস টি বি আই ভাট্টায়। এদিন ভাট্টাতে TR 05E 1809 এই নম্বরের একটি ট্রিপার গাড়ি মাটি নিয়ে যাওয়ার সময় টাকার নিচে পড়ে শিশুটির মাথা থেতলে যায় । ঘটনাকে ঘিরে ভাট্টায় চাঞ্চল্যে সহ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। নিহত শিশুর নাম সোনালী কুমারী বাড়ি রাঁচি। শিশুটির মৃত্যুর পর শিশুটির মা-বাবা সহ অন্যান্য শ্রমিকরা শিশুটিকে নিজ ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রাখে ইট ভাটার মালিকের চাপে পড়ে । নিজেরাই মীমাংসা করতে চেয়েছিল কিন্তু বাদশা যে পুলিশ , ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে বিলোনিয়া থানার পুলিশ। ঘটনা বিকেল চারটায় হলেও রাত নয়টা অবধি শিশুটিকে পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ভাট্টাতে,অবশেষে শিশুটি উদ্ধারের জন্য ছুটে আসে মহকুমা পুলিশ অধিকারীক অভিজিৎ দাস। আধিকারিক শ্রমিকদের বোঝানোর পর রাত দশটা নাগাদ মৃতঃ শিশুটির দেহ দিতে রাজি হয় শ্রমিকরা। রবিবার ময়না তদন্ত শেষে শিশুর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় । চিত্তামারা এলাকায় গড়ে ওঠা কংশ রাজ দাসের এস টি বি আই সহ বেশ কিছু ভাট্টায় অব্যবস্থা তথা লেবার সেড, প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যাবস্হা, অনুমতি বিহীন ডাইভারসান, নিয়োজিত শিশু শ্রমিক, পলিউশন, সহ একাধিক সমস্যা থাকলেও চাইল্ড কমিশন, শ্রম দপ্তর কিংবা পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের ভূমিকা বিন্দুমাত্রও নেই বল্লে চলে, অভিযোগ গত বছর ও একটি শিশু ঐ ভাট্টাতে মারা গিয়েছিল, সেই ঘটনা সব মেনেজ করে শেষ করে দে ভাট্রা মালিক , অবিলম্বে ভাট্রাগুলিতে শ্রমিক সহ বিভিন্ন অব্যাবস্হা নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণকরুক প্রশাসন এটাই চাইছে এলাকাবাসী সহ শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ,
next post