বাংলাদেশে যাত্রী ও মালবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতর তালিকায় অর্ধশতাধিক। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জ আসা এগারো সিন্ধুর গোধুলী ট্রেনের সঙ্গে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলিম হোসেন শিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ট্রেনের বগীর নিচে এখনও অনেকের মরদেহ চাপা পড়ে আছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দুর্ঘটনার পর ঢাকার সঙ্গে ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভৈরব রেল স্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে ট্রেন দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনার পরপরই হতাহতদের উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল, আর যাত্রীবাহী ট্রেনটি যাচ্ছিল ভৈরব থেকে ঢাকায়। ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ দুই বগিতে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। এ সময় যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি উল্টে যায়।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারকাজে এগিয়ে আসেন স্থানীয় লোকজন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রেনের নিচে অনেক মানুষ চাপা পড়ে থাকতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলোতে অনেকেই আহত অবস্থায় পড়ে আছে। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আফছার উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, উদ্ধার কাজের জন্য রিলিফ ট্রেন রওনা হয়েছে। উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হবার পর ট্রেন চলাচল শুরু হবে।