আগামী একুশে অক্টোবর শুরু হচ্ছে দুর্গাপুজো। হাতে নেই আর বেশি সময়।২৪ শে অক্টোবর দশমী। বাড়ি ঘরের বেশির ভাগ প্রতিমাই সেদিন নিরঞ্জন করা হবে দশমিঘাটে। ২৬ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে মায়ের গমন অনুষ্ঠান। ফলে সেই দিন দশমীঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের ভিড় থাকবে অনেক বেশি। প্রতিমা নিরঞ্জনে কোনো ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন যাতে না হতে হয়। সেই জন্য পুর নিগমকে তাই আজ নিয়ে দ্বিতীয়বার সেই এলাকা পরিদর্শন করলেন মেয়র দীপক মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন কর্পোরেটর তুষার কান্তি ভট্টাচার্য কর্পোরেটর, জাহ্নবী দাস চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
দশমিঘাট এলাকায় স্মার্ট সিটি প্রকল্পে উন্নয়নের কাজ চলছে। স্মার্ট সিটি প্রকল্পে বিশাল কর্মযজ্ঞ হাতে নেওয়া হয়েছে অত্র এলাকার উন্নয়নে। উন্নয়ন করা হবে প্রতিমা নিরঞ্জন স্থান পাশাপাশি বানানো হবে খেলার মাঠ থাকবে জিম।
গত বছর যে পদ্ধতিতে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়েছিল এ বছরও সেই ভাবেই ক্রেনের সাহায্যে স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে পারবে ক্লাবগুলি । মেয়র দশমিঘাট এলাকা পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে বলেন, কাজের অগ্রগতি দেখতেই আসা যতটুকু কাজ হয়েছে মনে হচ্ছে সুন্দরভাবেই এ বছরও নিরঞ্জনের কাজ করা যাবে। যদিও বর্ষার জন্য দ্রুত গতিতে কাজ করা যায়নি। তবু ও গত বছর ছিল কাঁচা মাটি এ বছর পাকা ব্যবস্থা করা হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। রাখা হয়েছে রেম্পের ব্যবস্থাও। প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। রাজ্য সরকার , পুর নিগম, নগর উন্নয়ন দপ্তর প্রত্যেকের চেষ্টা করছে এ বছরও যেন মায়ের গমন অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যায়। গতবার দুর্গাপূজায় একটিও দুর্ঘটনা ঘটেনি এ বছরও যেন সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে তাই লক্ষ্য থাকবে রাজ্য সরকার এবং পুর নিগমের। পুর নিগমের ৯০ জন কর্মী নিয়োজিত থাকবে ভাসানের কাজে। প্রতিমা নিরঞ্জনের কোন ক্লাবের প্রতিনিধিদের সহায়তার প্রয়োজন লাগবে না। গতবারের মতো এবছর ও প্রতিটি ক্লাবকে বলে দেওয়া হয়েছে কোন ধরনের সাউন্ড সিস্টেম এবং বাদ্যযন্ত্র নিয়ে নিরঞ্জন স্থলে প্রবেশ করা যাবে না। সরকারিভাবে গত বছরের মত উলুধ্বনি ও ঢাকের ব্যবস্থা রাখা হবে।